স্মার্টফোনের ডিসপ্লের মাধ্যমে ডিএনএ বিশ্লেষণের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন পলিটেকনিক মন্ট্রিল ও গরিলা গ্লাস উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান কর্নিংয়ের গবেষকরা। ধারণা করা হচ্ছে, এ প্রযুক্তির সফল উন্নয়ন সম্ভব হলে স্মার্টফোনের ডিসপ্লের মাধ্যমেই ডিএনএ বিশ্লেষণ করে সাধারণ রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে। গবেষকরা এমন ‘বায়োমেডিকেল সেন্সর’ তৈরির চেষ্টা করছেন; যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর লালা পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হবে। খবর ম্যাশেবল।
সংবাদমাধ্যম ম্যাশেবলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, উভয় প্রতিষ্ঠানের গবেষকদের তথ্যমতে ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে রোগ নির্ণয়ের প্রযুক্তি তৈরিতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিশেষ এ বায়োমেডিকেল সেন্সরগুলো স্মার্টফোনের ডিসপ্লের মধ্যেই সংযুক্ত থাকবে এবং এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর শরীরের তাপমাত্রা ও রক্তচাপ পরিমাপ করার সুবিধা পাবেন সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীরা। এ বিষয়ে গবেষকরা ‘অপটিক্যাল সোসাইটির’ সাময়িকী ‘অপটিকস এক্সপ্রেস’-এ জানিয়েছেন, ‘লেজার-রিটেন লাইট-গাইডিং সিস্টেম’ নামে অভিনব এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন তারা, যা প্রত্যাশিত লক্ষ্য অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
এদিকে পলিটেকনিক মন্ট্রিলের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্সের অধ্যাপক রামন ক্যাশপ এক বিবৃতিতে জানান, উভয় প্রতিষ্ঠানের যৌথ প্রচেষ্টায় নতুন প্রযুক্তিটি উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে। এখন এ প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়টি নির্ভর করছে মানুষের ওপর। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, স্মার্টফোন ছাড়াও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো জানালার কাচ বা টেবিলের উপরের কাচেও ‘বায়োমেডিকেল সেন্সর’ ব্যবহার করবে। এছাড়া এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্মার্টফোনের ডিসপ্লেতে লেজার রশ্মি প্রয়োগ করে আলোর রশ্মির মাধ্যমে তথ্য স্থানান্তরের পথ তৈরি করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন গবেষকরা।
তবে এ প্রযুক্তির স্মার্টপণ্য নির্মাণের জন্য টেমপারেচার সেন্সর ও অথেন্টিকেশন সিস্টেমের পেটেন্ট এখনো পেন্ডিং রয়েছে।