বিশ্বসেরা গোলরক্ষকঃ
২০০২ বিশ্বকাপের পর সম্ভবত এই প্রথম একজন বিশ্বসেরা গোলরক্ষককে পেয়েছে ব্রাজিল। তিনি অ্যালিসন। ইতালিয়ান ক্লাব রোমা এবং জাতীয় দল ব্রাজিলের হয়ে যে তিনি কতটা নির্ভরশীল গোলরক্ষক- সেটা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন। যে কারণে, এখন থেকেই অ্যালিসনের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রায় প্রতিটি খেলোয়াড়ই রয়েছেন ফর্মেঃ
কোচ তিতে তার নিয়মিত লাইনআপ তৈরি করছেন ফর্মে থাকা ফুটবলারদের নিয়ে। ব্রাজিল ফুটবলাররাও জানেন, যদি তারা ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেন, তাহলে তিতের দলে পরের সুযোগটা পাবেন। পারফরম্যান্সে কোনো ঘাটতি থাকলেই পড়ে যাবেন বাতিলের খাতায়। গত আট বছরের এই উদাহরণটা তৈরি হচ্ছিল না ব্রাজিল দলে। এবার যেটা করতে পেরেছেন তিতে।
নতুন অর্জিত আত্মবিশ্বাসঃ
দুঙ্গার কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়ে তিতে ব্রাজিলকে যেভাবে গড়ে তুলেছেন, সেটাই বিস্ময়কর। বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে টানা সাফল্য, সবার আগে বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করা এবং বাছাই পর্বের পর প্রায় প্রতিটি প্রীতি ম্যাচেই দারুণ সাফল্য ব্রাজিলের আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। সর্বশেষ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিপক্ষে নেইমারকে ছাড়াও ১-০ গোলে জয় নিশ্চিতভাবেই বিশ্বকাপের আগে ব্রাজিলের আত্মবিশ্বাসে নতুন জালানি যোগ করে দিয়েছে। গত বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে পরাজয় যেন বহু আগে দেখা একটি দুঃস্বপ্নের মতই। যা কদাচিৎ মনে পড়ে।
বিতর্কহীন একজন কোচঃ
সর্বশেষ ব্রাজিলের যেটা সবচেয়ে বড় শক্তি, সেটা হচ্ছে সম্পূর্ণ বিতর্কহীন একজন কোচ পাওয়া। তিনি তিতে। তার পূর্বসূরী দুইজনের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রের তিতে। দুঙ্গা কিংবা স্কলারির চেয়ে খেলোয়াড় এবং মিডিয়ার সঙ্গে তিতের সম্পর্ক অনেক বেশি ভালো। এ কারণেই খেলোয়াড়রা সত্যি সত্যিই বিশ্বকাপের জন্য এখন পুরোপুরি প্রস্তুত।
শক্তিশালী ডিফেন্সঃ
তিতে তার ডিফেন্সকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার দিকেই প্রথম নজর দিয়েছিলেন। তার প্রথম কাজই ছিল থিয়াগো সিলভার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা। গত বিশ্বকাপে বিধ্বস্ত হওয়ার পর নতুন কোচ হয়ে আসা দুঙ্গা প্রথমেই থিয়াগো সিলভার কাছ থেকে নেতৃত্ব ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তিতের এই উদ্যোগের ফলে থিয়াগো সিলভার নেতৃত্বে এখন সেন্টার হাফে মিরান্দা এবং মার্কুইনহোসকে নিয়ে পৃথিবীর সেরা এবং শক্তিশালী ডিফেন্স লাইন তৈরি করে ফেলেছে ব্রাজিল। এই ডিফেন্স ভাঙা যে কারও জন্য সত্যিই হবে খুব কঠিন।