আগামী নির্বাচনে ‘পরাজয়ের ভয়ে’ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘একদলীয় নির্বাচনের’ আয়োজনে জন্য কাজ করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই মুখপাত্র।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে ‘পুস্পদাম রেস্টোরেন্টে’ খেলাফত মজলিস আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের সমারোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এমন শাসন শুধু ফ্যাসিবাদী শাসনের সঙ্গে তুলনা চলে।’
‘বিরাট বাজেটে জনগণকে আষ্টেপৃষ্টে বেধেছে, যেখানে জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার কোনো কিছু নেই।। বড় বড় মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে দুর্নীতি-চুরির জন্য কর বাড়িয়ে ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য কিছু নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘শুধু দুর্নীতিবাজদের দুর্নীতির সুযোগ বাড়ানো হয়েছে।’
দেশে বড় সংকট চলছে দাবি করে এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে একটি নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনে ব্যবস্তার বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু দুর্ভাগ্য, সরকার একদলীয় শাসন এবং একদলীয় আরেকটি নির্বাচন করার জন্য কাজ করছে। কারন তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তারা জয়ী হতে পারবে না।’
সরকারের বিরুদ্ধে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘যে সরকারের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে না তাদের সরানোর বিকল্প নেই।’
খেলাফত মজলিসের অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদেরের সঞ্চলনায় উপস্থিত ছিলেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম ও মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এলডিপির মহাসচিব ড. রেদওয়ান আহমেদ, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আযহারুল ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মওলানা মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসাচবি এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক আবদুল করিম মুসলীম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের প্রমুখ।