১. রাস্তার বিলবোর্ডগুলোতে নারীদের হয়রানির শাস্তিগুলো বড় করে লিখে রাখা যেতে পারে। যাতে পথ চলতে চলতেই ড্রাইভার-হেল্পাররা শাস্তির ব্যাপারে একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন।
২. বাসের কিছু কিছু জায়গায় ‘পকেটমার হইতে সাবধান’ কিংবা ‘৫০০ টাকা ভাংতি নাই’ টাইপের বাণী লেখা থাকে। এই বাণীগুলোর বদলে বাসচালক বা সহকারীদের মায়ের আদেশ-নির্দেশ লিখে রাখা যেতে পারে। যেমন: ‘সাবধানে থাকিস, বাবা। নারীদের হয়রানি করিস না’। এতে করে কোনো নারীর দিকে নজর দিতে গেলে তঁাদের মায়ের কথা মনে পড়বে।
৩. ইতিমধ্যে বাসে নারী হয়রানি মামলায় গ্রেপ্তারকৃত কিংবা সাজাপ্রাপ্তদের ছবি এবং সাজার বিবরণ পোস্টার হিসেবে বাসে সেঁটে রাখা যায়। চালক ও তাঁর সহকারীরা যাতে শাস্তির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল থাকেন।
৪. বাসগুলোর ভেতরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো যেতে পারে। সিসিটিভির ফুটেজের কারণে বড়সড় নেতা পর্যন্ত পদত্যাগ করে ফেলছেন। বাসের চালক-সহকারীরা অন্তত সেটা মাথায় রাখবেন।
৫. বাসের ভেতরের পরিস্থিতি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। অপরাধের প্রমাণ রাখার এত বড় মাধ্যমকে অপরাধীরা উপেক্ষা করবে বলে মনে হয় না।
৬. মাইলস্টোনগুলোতে গন্তব্যের দূরত্ব না লিখে ওই স্থান থেকে কারাগারের দূরত্ব লিখে রাখা যেতে পারে, যাতে কিছুক্ষণ পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কথা বাস কর্তৃপক্ষের মনে পড়ে যায়। পুলিশের আঠারো ঘা-কে তোয়াক্কা না করার সাহস বোধ হয় তাদের নেই।
৭. বাসের চালক, সহকারীদের মা-বোন-স্ত্রী-মেয়ের মধ্যে কাউকে না কাউকে নিয়ম করে বাসযাত্রী হিসেবে রাখা যেতে পারে। তাদের সামনে অন্য নারীদের হয়রানি করার সাহস করবেন না কেউই।
৭. রাস্তার বিলবোর্ডগুলোতে নারীদের হয়রানির শাস্তিগুলো বড় করে লিখে রাখা যেতে পারে। যাতে পথ চলতে চলতেই ড্রাইভার-হেল্পাররা শাস্তির ব্যাপারে একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকেন।
৮. ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সময় ‘এই ব্যক্তি নারী হেনস্তা করিবে না’ মর্মে চালক-সহকারীর মা, বোন, স্ত্রী বা মেয়ের অঙ্গীকার নেওয়া যেতে পারে। পরবর্তী সময়ে চালক-সহকারী কোনো নারীকে হয়রানি করতে গেলে দুবার ভাববেন।
৯. চলন্ত বাসে ফোনে কথা বলা নিষেধ। তবে প্রতিটি স্টপেজে বাসের চালক-সহকারীদের স্ত্রী, মেয়ে বা মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। এতে করে যদি তাঁরা মেয়েদের সম্মান করতে শেখেন।