ফাইব্রোমিলজা রোগের একটি লক্ষন হল, ঘুমের গণ্ডগোল। এটি স্পাইনাল কর্ড ও মস্তিষ্কের যন্ত্রণাদায়ক একটি রোগ। এই রোগের কারনে ক্লান্তি, শারীরিক যন্ত্রণা ও মনযোগে সমস্যাও হতে পারে। তাই ফাইব্রোমিলজার সমস্যা দূর করতে সবার আগে ঘুমের সমস্যা দূর করতে হবে। এর ঘুমের সমস্যা দূর করতে পারলেই, ফাইব্রোমিলজা অবস্থার উন্নতি ঘটানো সম্ভব।
* ধারনা করা হয়, শতকরা ২ থেকে ১০ ভাগ মানুষ এই ফাইব্রোমিলজা রোগের শিকার হয়ে থাকে।
* ফাইব্রোমিলজা রোগীদের মাঝে চার ভাগের তিন ভাগ রোগীর ঘুমের সমস্যা রয়েছে। এর প্রধান উপসর্গ হল, ঘুমের মাধ্যমে ক্লান্তিভাব দূর না হওয়া।
* ফাইব্রোমিলজার ক্ষেত্রে অনিদ্রা বলতে ঘুম না আসা ও বেশীসময় ধরে ঘুমাতে না পারাকে বুঝায়। এর চিকিৎসা স্বরূপ আচরণগত থেরাপি ও ঘুমের অভ্যাসের পরিবর্তন ভালো কাজে দেয়।
* ফাইব্রোমিলজা আক্রান্ত ব্যাক্তিদের ঘুম খুবই পাতলা হয়। তারা কখনও গভীর ঘুম দিতে পারে না, ঘন ঘন তাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এই সমস্যার সমাধানে চিকিৎসকরা অনেক সময় ঘুমের ওষুধ দিয়ে থাকেন।
* সাধারণ ঘুমের অধিকারীদের সাত থেকে ১৪ দিন শব্দবহুল এলাকায় থাকতে দিলে তাদের ঘুমে সমস্যা হয় এবং তাদের ফাইব্রোমিলজা রোগের শিকার হবার সম্ভবনা থাকে।
* এই রোগে আক্রান্ত ব্যাক্তিদের রেস্টলেস লেগস নামক একটি বিশেষ রোগ দেখা দেয়, যার কারনে তাদের পা নাড়াবার অভ্যাস থাকে। তাদের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগের এ সমস্যা দেখা যায়। অন্যদিকে সাধারণ মানুষের ৭ ভাগ এতে আক্রান্ত হয়। এ সমস্যার আলাদাভাবে চিকিৎসা করা হলে ফাইব্রোমিলজার উন্নতি হয়।
* এই রোগীদের নিঃশ্বাসের সমস্যার কারনেও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে ৬১ ভাগ পুরুষ ও ৩২ ভাগ নারী এতে আক্রান্ত হয়। তবে শ্বাস-প্রশ্বাসের উন্নতি ঘটাতে পারলে এ সমস্যা অনেকাংশে কমে যায়।
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা একটি মারাত্মক সমস্যা। এই সমস্যা থেকে একসময় নানান সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ঘুমের সমস্যা সমাধানের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।