তথ্য গোপন করে চাকরি নেওয়ায় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের একুয়াকালচার বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুলতান মাহমুদ ও একই অনুষদের মেরিন ফিশারিজ এন্ড ওসানোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. জাহিদ পারভেজ সুখনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
একই সঙ্গে তাদের কেন স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না- মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশে এই তথ্য জানা গেছে।
পবিপ্রবি সূত্রে জানা গেছে, ড. সুলতান মাহমুদ ২০০৪ সালে ময়মনসিংহ সদরে মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় বরখাস্ত হন। পরে তিনি সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হওয়ার ওই তথ্য গোপন করে পবিপ্রবির শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ওসানোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষক ড. জাহিদ পারভেজ সুখনের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। তিনি জামালপুরে মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ২০১২ সালে বরখাস্ত হওয়ার পর তথ্য গোপন করে পবিপ্রবিতে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন।
পবিপ্রবির সংস্থাপন (শিক্ষক ও কর্মচারী) শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তবে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।