ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁসের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে এবার তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস ‘থ্রি ফাস্ট ক্লাসে ১৫ লাখ টাকা, ফোরে ১২’ এই শিরনামে প্রকাশিত সংবাদের বিষয়টি আমলে নিয়ে ইউজিসি দুই সদস্য বিশিষ্ট এ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. এম শাহ নেওয়াজ আলিকে আহবায়ক এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক খন্দকার হামিদুর রহমাকে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, গত ২ এপ্রিল ‘দৈনিক যুগান্তর’ পত্রিকায় ইবি শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস ‘থ্রি ফাস্ট ক্লাসে ১৫ লাখ টাকা, ফোরে ১২’ শিরনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত শিক্ষককে সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়। একই সাথে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুহুল কুদ্দুস মু. সালেহকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু পরে কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই কমিটিতে কণ্ঠস্বর ও আইন বিশেষজ্ঞ আরো দুই সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়। গঠিত কমিটির সকল বিষয় তদন্ত শেষ গত ৬ মে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর নিকট প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে সংবাদটি প্রকাশের পর থেকে দেশব্যাপী ব্যপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হওয়ায় সর্বশেষ বিষয়টি পুনারায় তদন্তের জন্য দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া তদন্ত কমিটিকে যথাশীঘ্র সম্ভাব একটি পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।