পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্রকে বিয়ে করার দাবীতে তার বাড়িতে অনশন করছে দুই সন্তানের জননী। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নে খঁড়িয়াল গ্রামে।
অনশনকারী নারী একই গ্রামের আব্দুল মানিকের মেয়ে মিমি (২৫)। মিমি বিনোদপুর ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের কামাল উদ্দিনের স্ত্রী।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল প্রেমিক রানার বাড়িতে গিয়ে কথা হয় মিমি বেগমের সাথে। তিনি জানান, আমার বিয়ে হওয়া ৭ বছর হলো আর বিয়ের দুই মাস আগে থেকে রানার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। রানা নিয়মিত আমার সাথে যোগাযোগ করতো। তবে গত ১৮ তারিখ রোববার গভীর রাতে আমার স্বামী আম বাগানে পাহারা দেয়ার সুযোগে রানা আমাকে ফোন দিয়ে আমার পিতার বাড়ি এসে আমার সাথে শয়ন ঘরে অবৈধকাজে লিপ্ত হয়। এ সময় আমার স্বামী হঠাৎ উপস্থিত হয়ে আমাদের হাতেনাতে ধরে ফেললে রানা আমার স্বামীকে ধাক্কা মেরে পালিযে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রানা ও মিমির দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। বেশ কিছুদিন আগে তাদের দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছিল এবং রবিবার রাতে আবারো আটক করা হলে রানা মোবাইল ফোন, সেন্ডেল ও সিগারেটের প্যাকেট ফেলে পালিয়ে যায়।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে রানার মা, বোন, ভাবী, চাচাতো ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মেয়ে পক্ষ এটি একটি নাটক সাজিয়েছে। তবে রানার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেন।
মিমির পিতা আব্দুল মানিক জানান, মেয়ের সিদ্ধান্ত মেয়েই নিয়েছে সেহেতু আমার বলার কিছুই নেই। সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম জানান ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। তবে কোন পক্ষই আমার নিকট আসেনি।
এব্যাপারে মনাকষা ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা শাহাদাৎ হোসেন খুররম বলেন মেয়েটি যেহেতু দুই সন্তানে জননী এবং বর্তমানে স্বামী আছে, সেহেতু এটি জটিল বিষয়। তবে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করছি।