ভয়াবহ পানি সংকটের কবলে পড়েছে বাংলাদেশ।দিন দিন এর মাত্রা আরও বেড়ে চলেছে।মানুষের সংখ্যা যত বাড়ছে মাটির নিচে পানির স্তর ততই কমছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন,শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই প্রতিবছর পানির স্তর ৩ মিটার করে কমে যাচ্ছে এবং সামনের দিনগুলিতে এই অবস্থা আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।আর ঢাকার বাইরে অনেক জায়গায় গভীর নলকূপেও পানি পাওয়া যাচ্ছে না।দেশের অনেকগুলো সেচ প্রকল্প চলছে রেশনিং করা পানির মাধ্যমে।এছাড়া পানির অভাবে ৪০ হেক্টর জমি আনাবাদি হয়ে পরে আছে।
রাজশাহী এলাকায় বরেন্দ্রর অনেক সেচ প্রকল্প আছে যেগুলো চালানো হয় গভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তলনের মধ্য দিয়ে।কিন্তু দিনে দিনে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেই সেচ প্রকল্পগুলোও ভালোভাবে চালানো সম্ভব হচ্ছে না।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন,প্রতি বছর ১৬ টি জেলার প্রায় ৪০ হাজারেরও বেশি নলকূপে ভালোভাবে পানি আসে না।এর কারণ হিসেবে তারা বলেছে যেখানে সেখানে নলকূপ স্থানপনের কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এখন বোরো ধানের সময়।এই সময় বোরো ধানে পানি দেয়া অনেক জরুরী।কিন্তু কয়েকদিন ধরে যে তপ্ত আবহাওয়া চলছে তাতে আর কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে কৃষকদের অতি কষ্টের বোরো ধান হুমকির মুখে পরে যাবে।
ঢাকা শহরের পানির অবস্থা আরও খারাপ।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন,গত বছর ঢাকা শহরের পানির স্তর ১৬-২০ ফুটের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছিল কিন্তু এ বছর তা ২৫-২৬ ফুটেও পাওয়া যাচ্ছে না।যা আমাদের জন্য একটি আশনি সংকেত।অনেক এলাকাতেই পানির স্তর এতো নিচে যে বছরের সব সময়ই সেখানে পানির সমস্যা লেগে থাকে।বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে,বৃষ্টিপাত ঠিক মত হলে ঢাকা শহরে পানির স্তর ১২ ফুটের মধ্যেই পাওয়া যায়।
পানি সংকটের এই কারণ হিসেবে অভিজ্ঞরা জানিয়েছেন,জলবায়ুর পরিবর্তন,লোকসংখ্যা বৃদ্ধি,ভারতের বাংলাদেশে পানি আসতে না দেয়া সব কিছুই বাংলাদেশের পানি সংকটের কারণ।এখনি যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে এই অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।তাই আমাদের সবার উচিত পানির অপচয় রোধ করে পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া কারণ সামনে হয়তো এমন দিন আসতে পারে যখন জরুরী প্রয়োজনের কাজেও পানি পাওয়া যাবে না।