২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেটে জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে ২১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন তিনি। যা মোট প্রস্তাবিত বাজেটের ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।
অর্থমন্ত্রী জাতীয় সংসদকে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয় আমাদের সরকার। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উল্লেখযোগ্য হারে লোডশেডিং কমেছে।
এদিকে এ বাজেটে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে গত অর্থবছরের তুলনায় ১৫১৫২ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গত অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ৫০,২৯২ কোটি টাকা (সংশোধিত) বরাদ্ধ থাকলেও এবারে তা বাড়িয়ে ৬৫৪৪৪ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটের অর্থ সংগ্রহের মূল উৎস ধরা হয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর। এ খাত থেকে অর্থ আসবে ২ লাখ ৪৮ হাজার ১৯০ কোটি টাকা, যা বাজেট আকারের ৬২ শতাংশ। বাকি অর্থ আসবে অভ্যন্তরীণ ঋণ, বৈদেশিক ঋণ, বৈদেশিক অনুদান, এনবিআর বহির্ভূত কর এবং কর ব্যতীত প্রাপ্তি থেকে।
এর আগে দেশের ইতিহাসে ১৯৭২ সালে তাজউদ্দিন আহমেদ প্রথম ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। এই হিসেবে সাড়ে চার দশকে বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের ফর্দ বাড়ছে ৫০০ গুণের বেশি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে সামরিক থেকে গণতান্ত্রিক বিভিন্ন সরকারে ১৪ জন অর্থমন্ত্রী (অর্থ উপদেষ্টা অথবা সামরিক আইন প্রশাসক) ৪৫টি বাজেট উপস্থাপন করেছেন এর আগে।
এটি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহতের ১১তম বাজেট উপস্থাপন। টানা বাজেট উপস্থাপনে গত অর্থবছরেই রেকর্ড করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের গত মেয়াদের (২০০৯-২০১৪) পাঁচটি বাজেটের সঙ্গে এবারের তিনটি বাজেটের পর বৃহস্পতিবার টানা নবম বাজেট দিতে যাচ্ছেন তিনি। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর দীর্ঘ আলোচনা শেষে ২৯ জুন পাস হবে।